//
সর্বশেষ

 

 

বাংলাবিদ কী?

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি ইস্পাহানি টি লিমিটেড এর উদ্যোগে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল- ‘চ্যানেল আই’ -এ বাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে শুদ্ধ বাংলা, বানান ও ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে ইস্পাহানি আয়োজন করে বাংলা প্রতিযোগিতা ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। এ প্রতিযোগিতায় শুদ্ধ বাংলা ভাষার ব্যবহার, বানান চর্চা, শুদ্ধ উচ্চারণ ও ব্যাকরণের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় শেষে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

কেন এই প্রতিযোগিতা ?

ইস্পাহানি টি লিমিটেড বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের গণ্ডির মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে ইস্পাহানি গ্রুপ বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আর এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বাংলার শুদ্ধতার চর্চা এবং এ ব্যাপারে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে ইস্পাহানি বদ্ধপরিকর। আমাদের নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধ বাংলা ভাষার ব্যবহার, বানান চর্চা, উচ্চারণ ও ব্যাকরণের সঠিক প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ইস্পাহানি টি লিমিটেড আয়োজন করেছে সৃজনশীল টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। বিভিন্ন চ্যানেলে ইংরেজি-হিন্দির আধিপত্যে শিশু এবং কিশোর বয়সীদের মনন-সংস্কৃতিতে যে বিরূপ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন সেক্ষেত্রে খুব সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। এ প্রতিযোগিতা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে নিয়ে আসার, একই সাথে তাদের উচ্চতর পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার অর্থায়নের মধ্য দিয়ে মেধা ও মনন বিকাশের জায়গা করে দেবে। ইস্পাহানি গ্রুপ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে উক্ত সৃজনশীল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার, বানান চর্চা, উচ্চারণ, ও ব্যাকরণের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারবে। এবং বাংলা ভাষার ঐতিহ্যকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জাতি যারা নিজেদের মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। পৃথিবীতে আর কোনও জাতি কখনোই মাতৃভাষার জন্য জীবন বিসর্জন দেয়নি। তাই বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের একটি গর্বের স্থান। বাংলাদেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ বাংলায় কথা বলে, বাংলায় পড়ে, বাংলায় ভাবে, বাংলায় ভালবাসে। বাংলায় তাঁদের মননের বিকাশ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য; প্রমিত বাংলার চর্চা, শুদ্ধ বাংলার ব্যবহারে বাংলা একাডেমি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও হাতে গোনা কিছু সংবাদপত্র ছাড়া কারো ভূমিকা চোখে পড়ার মত নয়। বইপুস্তক, প্রচারপত্র, বিলিপত্র, বিজ্ঞাপনের ব্যবহৃত মাধ্যমসমূহ, বাসে-রেলে, দাপ্তরিক কাগজপত্রে বাংলা বানানের ভুলের ছড়াছড়ি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছি, শুদ্ধ বাংলার চর্চার প্রতি কিছুটা অবহেলা, কিছুটা ঔদাসিন্য থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষার প্রয়োগে ভুলের ছড়াছড়ি। আজ আমরা নিজেদের মনের অজান্তেই আমাদের প্রিয় মাতৃভাষাকে অপমানিত করে যাচ্ছি। আমরা আজ সঠিকভাবে বাংলার প্রয়োগ করছি না বরং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির গ্যাঁড়াকলে বাংলা ভাষার অপব্যবহার করে যাচ্ছি যা বাঙালি জাতি হিসেবে সত্যি আমাদের জন্য লজ্জাকর। তাই ভাষার ব্যবহারকে তার সঠিক স্থান ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। জেগে ওঠার সময় এখনই।